বরিশালের উজিরপুর পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠেয় আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৪ জনসহ মোট ৩৬ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। ইতোমধ্যে এসব প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে এবং আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এদিকে অতিআসন্ন এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থীসহ অন্যান্য প্রার্থীদের গণসংযোগ আর কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বসতবাড়িতেও এখন আলোচনার বিষয় শুধু নির্বাচন।
প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে ভোট চেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন তাদের নির্বাচনী এলাকা। পৌরসভার এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে যে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনিত সদ্য বিদায়ী মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারী, বিএনপির মো. শহিদুল ইসলাম খান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. কাজী শহিদুল ইসলাম। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিদায়ী মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারীর পক্ষে তার কর্মী-সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখোর গোটা পৌর নগরী। তাছাড়া পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠার পরে গতবারের অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয় লাভ করে গিয়াস উদ্দিন বেপারী প্রথম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি অবহেলিত উজিরপুর পৌরসভায় একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে নগরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রথম পৌর অভিভাবক হিসেবে নাগরিক সুবিধার জন্যও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বেপারীর ভূমিকা অকল্পনীয়। তিনি নাগরিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পৌর এলাকার সবগুলো মাটির রাস্তাকে পর্যায়ক্রমে পাঁকা ও ইট বিছানো রাস্তায় রূপান্তরিত করেছেন। একই সাথে রাঁতের আধাঁরে নগরবাসির চলাচলে সুবিধা ও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা এড়াতে ছোট-বড় সকল রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করে পুরো পৌর এলাকাকে করেছেন আলোকিত। শুধু রাস্তা নয়, নগরীর ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে উজিরপুর পৌরসভাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এনেছেন। তাছাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর, পৌর এলাকার চারদিকের সীমানা স্তম্ভসহ কয়েকটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ এবং সমাজসেবার মাধ্যমে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতার ব্যবস্থা চালু করেন বিদায়ী মেয়র গিয়াস উদ্দিন।