আগামী ২১ জুন সোমবার সারাদেশের ন্যায় উজিরপুরে পাঁচটি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে ভোট হলেও সকলের নজর জল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিকে। জল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্বে মাঠে রয়েছেন সাবেক দুই নারী ইউপি চেয়ারম্যান। জল্লা ইউনিয়ন হিন্দু অদ্যসিত এলাকা ও আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক হিসাবে খ্যাত। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান সাবেক চেয়ারম্যান নিহত নান্টু হালদারের স্ত্রী বর্তমান চেয়ারম্যান বেবী রানী দাস। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছে সাবেক জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত অবনী বাড়ৈ’র স্ত্রী প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের সদস্য উর্মিলা বাড়ৈ । তিনি জেলা পরিষদ সদেস্য পদ থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করে ভোটের লড়াই করতে জল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্ধিতা করছেন। বিগত জোট সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ সমার্থিত ইউপি চেয়ারম্যান থাকা কালিন সময় র্দূবৃত্তদের গুলিতে নিহত হন তার স্বামী অবনী বাড়ৈ। এরপর আওয়ামীলীগের কান্ডারী হিসাবে টানা ২বার জল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উর্মিলা বাড়ৈ। দলীয় প্রতিকে ইউপি নির্বাচন হলে উমিলা বাড়ৈ আ.লীগের মনোনয়ন বিঞ্চত হন। তারপর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদেস্য নির্বাচিত হন উজিরপুর উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি উর্মিলা বাড়ৈ । অপরদিকে বতর্মান সরকারের আমলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু হালদার নিহত হলে তার স্ত্রী বেবী রানী হালদারকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ। বেবী রানী তখন বিনা প্রতিদন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নানা বির্তকিত কর্মকান্ডে তিনি সমালিচিত হন। এই ইউনিয়নে দুই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। ভোটের লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুই নারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভিতর সমঝোতার জন্য স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগে সহ-সভাপতি উর্মিলা বাড়ৈ জানান, জনগণের চাপে জেলা পরিষদ সদেস্য পদ ছেড়ে আমি প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছি। ওই এলাকার আ.লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যেই তার পক্ষে রয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হলেও আওয়ামীলীগেই থাকবেন । অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলেও অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
অপরদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বেবী রানী জানান, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এই ইউনিয়নের মানুষ নৌকাকে ভালোবাসে । বিগতদিনের মতো এই ইউনিয়নের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে। বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে চিন্তার কোন কারন নেই । অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলেও অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য ১১ এপ্রিল স্থাগিত ইউপি নির্বাচন আগামী ২১ শে জুন জল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের প্রার্থী বেবী রানী দাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী উর্মিলা বাড়ৈ, চরমোনাইপীরের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী নাসির উদ্দিন মল্লিক ভোট যুদ্ধে প্রতিদন্ধিতা করছেন। এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ১৯৭ জন।
উজিরপুরে জল্লা ইউপিতে ভোটযুদ্ধে সাবেক দুই নারী ইউপি চেয়ারম্যান
