উজিরপুর পৌরসভার নির্বাচনের আর বাকী ২ দিন প্রচার প্রচারনা শেষ মুহুর্তে প্রায় সব রকম অনুষ্ঠানিকতা শেষ করলো নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনিত প্রার্থীরা। মেয়র পদের জন্য ৩ প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অবর্তীণ হলেও ভোটের লড়াইয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বেপারী ও বিএনপি’র মনোনিত প্রার্থী মো: শহিদুল ইসলাম খান। অপর প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখার কাজী শহিদুল ইসলামের তেমন তৎপরতা নেই। তিন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগ সহ সবধরণের প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। উজিরপুর পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে উজিরপুর জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এক অচেনা নগরীতে পরিনত হয়েছে গোটা পৌর এলাকা ।
পৌষের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে রাত-দিন একাকার করে নাওয়া-খাওয়া ভুলে তিনি গোটা পৌর শহর নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন। গিয়াস উদ্দিন বেপারী তার জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে নিজে পায়ে হেটে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনি উজিরপুর পৌরসভাকে তিলোত্তমা পৌর শহরে রূপান্তর করাসহ নানা নাগরিক সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে বিএনপি’র মনোনিত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খান প্রচার প্রচারনা করে ধানেরশীষ প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করছেন নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের তিনি আশাবাদী ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দ’র প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলে ধানের শীর্ষ প্রতিক নিয়ে তিনি জয়ী হবেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সোমবার বরিশাল জেলার উজিরপুর পৌরসভার ২ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ টি ভোট কেন্দ্রে ১১হাজার ৯২৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন তার মধ্যে ৫ হাজার ৯৩৬ জন নারী ভোটার ও ৫ হাজার ৯৮৮জন পুরুষ ভোটার রয়েছে।
এ বছর প্রথম বারের মত ইভিএম পদ্বতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে কারনে ইভিএম পদ্বতি নিয়ে সাধারন ভোটারদের মধ্যে রয়েছে নানা কৌতুহল। তার পরও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সাধারন ভোটাররা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে আ.লীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বেপারী বলেছেন, তিনি উজিরপুর পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে গত পাঁচ বছর সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পৌর এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এক সময়ের গ্রামকে তিনি শহুরে রূপ দিয়েছেন। কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি নভেল করোনা কালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে এবং মাদক, বাল্য বিয়ে, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত আলোকিত এক তিলোত্তমা পৌরসভা বিনির্মাণে ভোটাররা আবারও তাকেই স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিবেন। সে কারনে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
অপরদিকে বিএনপি’র মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহিদুল ইসলাম খান বলেছেন-গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে তিনি জয়ী হবেন। উজিরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: আলিমউদ্দিন জানিয়েছেন উজিরপুর পৌর সভার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত করার লক্ষে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। তারা নির্বাচনের ২দিন আগে বহিরাগত কোন লোক পৌর এলাকায় থাকতে পারবেন না অনুমতি ছাড়া যানবাহন চলাচল করতে পারবে না মটরবাইকে প্রার্থী ও তার ড্রাইভার ২ জনের অধিক থাকলে গ্রেফতার কারা হবে ইভিএম পদ্বতিতে শতভাগ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২ টি ওয়ার্ডে ২জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৭টি ওয়ার্ডে ২২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী লড়ছেন এক ও অভিন্ন লক্ষে ভোট যুদ্বে ।
উজিরপুরে নৌকার পালে হাওয়া, দোল লাগেনি ধানের শীষে
