ফসলের মাঠ ভরা কাচা পাকা ইরি বোরো ধানের মৌ মৌ গন্ধে মাতয়ারা উজিরপুরের মানুষ, নানা ধরনের প্রতিকুলতার মধ্যেও চলতি বছরে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা জুড়ে ইরি বোরো ধানের বেশি ফলনে প্রন্তিক কৃষকরা বেশ উৎফুল্ল।

যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই মাঠ ভরা ধান আর ধান এ বছর সোনালী ফসলের বাম্পার ফলনে প্রন্তিক কৃষকদের চোখে মুখে অনন্দ’র বন্যা বইছে। ধান কাটার মৌসুম শুরু হতে না হতেই কৃষকদের আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে অনেকের ঘরে উঠেছে নতুন ধান।

উপজেলার বিভিন্ন এরাকায় করোনার কারণে ইরি বোরো ধান কাটার কাজে নিয়েজিত দিনমজুরের সংকট দেখা দিয়েছে। বাঙালী’র সেই চিরচেনা রুপ নতুন ধানের উৎসবের সুচনা হয় নানা ধরনের পিঠায় আর সেই ধানের বাম্পার ফলনে কৃষক,কৃষানীর এখন মূখে হাসির ঝিলিক।

চলতি বছর উজিরপুরের ১৩হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধানের চাষ হয়েছে তার মধ্যে উকসি হাজার ৩৩০০ হেক্টর ও হাইব্রীট ১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। তবে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৬০ হেক্টর উৎপাদন বেশি হয়েছে।

উজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় লক্ষমাত্রা ৬৬ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন ধান। চলতি বছর বেশি ফলনের আশা করছে কৃষিবিভাগ তবে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩শত মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষকা বেশ সচেতন ও কৃষিবিভাগের পরামর্শ’র কারণে ধানে পোকার আক্রমণ ছিলো কম, সেচ দিয়ে পর্যাপ্ত পানি দেয়ায় চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হওয়া কারণ বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, উজিরপুরের বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তার প্রধান কারন হচ্ছে কৃষকদের সচেতনতা ও কৃষি বিভাগের পরামর্শগুলো কাজে লাগানো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রীড জাতের ধানেরও ফলন হয়েছে বেশ। সব মিলিয়ে চলতিমৌসুমে ইরিতে বাম্পার ফলেন আশা করা হচ্ছে।

উপজেলার সাতলা এলাকার প্রান্তিক কৃষক বসন্ত হালদার জানিয়েছেন, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে তার এলাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে কয়েকদিন আগে হঠাত মন্দা হাওয়ায় তারসহ আনেক কৃষকের পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অল্প কদিনের মধ্যে ধান কাটতে ব্যাস্ত হয়ে পরবে কৃষকরা।

উপজেলা শিকারপুর এলাকার কৃষক সরোয়ার মুন্সী বলেন, চলতি আমনে তার জমিতে ধানের ফলন ভাল হয়েছে তাবে ধান কাটার কিষান নিয়ে তিনি চিন্তিত নতুন ধান উঠলে দাম না কমে এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কমৃকর্তা কৃষিবিদ মো. তৌহিদ বলেন, উজিরপুর উপজেলায় চলতি ইরি বোরো মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে সেকারণে চাষিদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক ফুটেছে।