বিপ্লব চন্দ্র হাজারী , উজিরপুর থেকে ঃ
বরিশালের উজিরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। আওয়ামীলীগের ৪ জন
এবং বিএনপির ১ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেশন। ইতিমধ্যে
আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন বর্তমান মেয়র ও
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারী, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল
মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাবেক সহ সভাপতি অশোক কুমার হাওলাদার, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন
সবুজ। এছাড়া বিএনপি থেকে পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান এর নাম শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য
প্রার্থীরা ইতিমধ্যে গনসংযোগ শুরু করেছে। রাজনৈতিক উচ্চমহলে জোর তদবীর চালাচ্ছেনা তারা। তবে
আওয়ামীলীগের মধ্যে দৌড়ঝাপ শেষে কে ছিনিয়ে নিতে পারেন দলীয় মনোয়ন নৌকা প্রতিক সেটাই
দেখার অপেক্ষায় পৌরবাসী। এসব প্রার্থীদের শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ই নয় তাদের রয়েছে সামাজিক
পরিচয়ও। ত্যাগী নেতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারীর জন্ম ১৯৭৫ সালে, পাস করেছেন স্নাতক ডিগ্রি,
ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের সক্রীয় সদস্য ছিলেন। তিনি একাধারে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও
দপ্তর সম্পাদক এবং ১৩ বছর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেছেন। উপজেলা যুবলীগের ৮ বছর যাবৎ সভাপতি
ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করছেণ। জড়িত রয়েছেন সামাজিক কর্মকান্ডে। তিনি উজিরপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য, বি.এন.খান ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং
বডির সদস্য, মানব কল্যান সংঘের সাধারন সম্পাদক,আল আকসা জামে মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর
সদস্য। এছাড়া সদা হাস্যউজ্জল কর্মী বান্ধব মোঃ হেমায়েত উদ্দিন জন্ম ১৯৭৩ সালে, পাশ করেছেন স্নাতকত্তোর
ডিগ্রি, তিনিও ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের সক্রীয় সদস্য ছিলেণ, ১৯৯০-১৯৯২সাল পর্যন্ত বি.এন.খান
ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেণ, ২০০৩ সালে উপজেলা যুবলীগের সদস্য, ২০১২ সাল থেকে
২০২০সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করছেন। সামাজিক কর্মকান্ড
হিসেবে বর্তমানে ইচলাদি বাসস্টান্ড আন নববী জামে মসজিদ, উজিরপুর আল ইশরা ইসলামীয়া
মাদ্রাসা, ইচলাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিন শিকারপুর আল মদিনা জামে মসজিদের সভাপতির
দায়ীত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, উপজেলা দুর্ণীতি দমন
প্রতিরোধ কমিটি এবং ইচলাদি বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করছেণ।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিনি মামলা ও হামলার শিকার হযেছেন। ঠান্ডা,নম্র, ভদ্র অশোক
কুমার হাওলাদার জন্ম ১৯৬০ সালে,শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি,তিনি ১৯৯১ সালে সর্গীয় হরনাথ
বাইনের সংসদ নির্বাচন থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন, ১৯৯৬ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৬ বছর দায়ীত্ব পালন করেন, ২০১২ সাল থেকে উপজেলা
আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়ীত্ব পালন করছেণ। সামাজিক কর্মকান্ডে তিনিও পিছিয়ে নেই।
উজিরপুর ডব্লিউবি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেণ, বর্তমানে
উপজেলা সার্বজনীন র্কীত্তন আঙ্গিনা, রাখালতলা হরি শেবাশ্রম,উপজেলা চত্তরে শ্রী শ্রী জয় দুর্গা
মন্দিরের সভাপতির দায়ীত্ব পালন করছেণ। হাসপাতাল রোড রাধা গোবিন্দ মন্দিরের সাধারন সম্পাদকের
দায়ীত্ব পালন করছেণ। তিক্ষন্ম মেধাবী কামাল হোসেন সবুজের জন্ম ১৯৭৫ সালে, পাস করেছেন স্নাতক ডিগ্রি , ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সক্রীয় সদস্য ছিলেন, উজিরপুর ডব্লিউবি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি ছিলেন, শিকারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আইন বিষয়ক সম্পাদক, ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেণ, ২০১৩ সাল থেকে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতির দায়ীত্ব পালন করছেন, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক। শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা কমিটির সহ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপজেলার সদস্য, উজিরপুর বিআরডিবির চেয়ারম্যান, উজিরপুর আলিম মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি,রাখালতলা জামিয়া কাশেমিয়া
আজিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে তার অবদান রয়েছে।
উজিরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামীলীগ-বিএনপি প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু
