বিশেষ সংবাদদাতাঃ
এক ছাদের নিচে ফুটবলের ভাগ্য নির্ধারকরা
মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবন ও হোটেল র্যাডিসনের পর এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন হচ্ছে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। শনিবার এ হোটেলে দুই সেশনে হবে এজিএম ও ভোট।
সকাল ১১টায় শুরু হবে এজিএম, বেলা ২টা থেকে শুরু হবে ভোট। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এজিএম ও নির্বাচন ঘিরে এ পাঁচ তারকা হোটেল এখন ফুটবল সংগঠকদের মেলা। প্রার্থী আর কাউন্সিলরে ঠাসা এ হোটেলে নির্বাচনী আবহ তুঙ্গে।
নির্বাচন কমিশনার ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সেরেছে। বাফুফে সেরেছে বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি। হোটেলের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে এজিএম এর হলের সামনে টানানো হয়েছে নানা প্রকার ব্যানার। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বাফুফের বিভিন্ন কার্যক্রম।
১৩৯ জন ভোটারের পাশাপাশি আছেন কিছু ননভোটিং কাউন্সিলর। সবার জন্যই আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে এই হোটেলে। আগামী চার বছর দেশের ফুটবল পরিচালনা করবেন কারা? এই রায় যারা দেবেন তারা এখন অবস্থান করছেন এক ছাদের নিচে।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই ১২৫ জনের মতো কাউন্সিলর হোটেলে উঠেছেন। বাকিরা রাতেই চলে আসবেন। এই কাউন্সিলররা ঠিক করবেন কাজী মো. সালাউদ্দিন চতুর্থবারের মতো দেশের ফুটবলের শীর্ষ চেয়ারে বসবেন, নাকি নতুন কাউকে বসাবেন।
২১ পদে নির্বাচন হলেও সবার চোখ সভাপতির দিকে। দীর্ঘ এক যুগ সভাপতির দায়িত্বে থাকা কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি বিগত কয়েক বছর ধরে। তবে যারা ভোট দিয়ে কমিটি বানাবেন তাদের চেয়ে সমালোচনার তীরটা বেশি এসেছে ননভোটারদের পক্ষ থেকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো সরব সমালোচনাকারীরা। কিন্তু যারা ফুটবলের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন তারা এখন এক ছাদের নিচে বসে সিদ্ধান্ত নেয়ার অপেক্ষায়।
বাফুফের নির্বাচনে ১৩৯ ভোটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৪ ভোট জেলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট ক্লাবের। বিভাগের আছে ৮ ভোট, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬, শিক্ষাবোর্ডের ৫ এবং একটি করে কোচেস অ্যাসোসিয়েশন, রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার।
ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর নির্বাচনে সবসময়ই প্রভাব রাখে জেলা ও বিভাগের ভোট। বাফুফে নির্বাচনে এ সংখ্যা ৭২। জোটবদ্ধ হয়ে তারা একদিকে রায় দিলে ফলাফল নিজেদের পছন্দমতো আনতে সক্ষম। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয় না। নির্বাচনে তারা জোটবদ্ধ হলেও ভোটে তার প্রভাব পড়ে না।
বাফুফে নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেছেন, তিনি একটি প্যানেল দাঁড় করিয়েছেন মফস্বলের কাউন্সিলরদের আদর বাড়াতে। প্রতিপক্ষ না থাকলে ভোটারদের মূল্য থাকে না বলেই দুইটি প্যানেল। উদ্দেশ্য যদি তাই হয়, তাহলে বাফুফের নির্বাচনে তাদের প্রভাব কতটুকু থাকবে; সেটাই প্রশ্ন।
এক ছাদের নিচে ফুটবলের ভাগ্য নির্ধারকরা
