সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার হয়েছে। এরা হলেন, রবিউল ইসলাম ও মাহবুবুর রহমান রনি।
রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে মামলার আসামি রবিউল ইসলামকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের এনায়েতগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া একই জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে রোববার রাতে আসামি শাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে সিলেট র্যাব-৯।
এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় মোট ৯ আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ জন গ্রেপ্তার হলেন।
আসামি সাইফুর রহমানকে রোববার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে এবং অর্জুন লস্করকে ভোরে হবিগঞ্জর মাধবপুরের মনতোলা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত শুক্রবারের ওই বর্বরোচিত ঘটনার পর ক্ষোভ, নিন্দা আর ধিক্কারে সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবি সবার। বন্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের থাকতে দেওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ১২৮ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় এক কলঙ্কজনক ইতিহাস সৃষ্টি হলো।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরাণ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে ছয় আসামির নাম রয়েছে, তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি। নাম থাকা আসামিদের ছয়জনই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।
এমসি কলেজে গণর্ধষনের ঘটনায় আরোও দুজন গ্রেফতার
