ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন কবে সে সিদ্ধান্ত আসতে পারে এপ্রিলের প্রথমার্ধে। আর নির্বাচন হতে পারে মে মাসের শেষের দিকে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী কমিশন বৈঠকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বৈঠকের নোটিশ এখনো হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহে বা এপ্রিল মাসের প্রথমার্থে বৈঠকে হতে পারে।

এবং সেখানে ভোটের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৬-তম কমিশন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৩ মে থেকে ২৯জুনের মধ্যে পাঁচ সিটি করপোরেশন (গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট) নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। সেদিন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছিলেন, এসএসসি পরীক্ষার পরপরই নির্বাচন হবে। এসএসসি পরীক্ষা আগামী ২৩ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ভোটের আলোচনা শুরু হতে না হতেই বরখাস্ত হওয়ায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সোমবার (২৭ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে (অব.) আহসান হাবিব খানের সঙ্গে দুইঘণ্টার মতো বৈঠক করেন। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটের খোঁজখবর নিতেই এসেছিলেন। তবে এ নিয়ে মুখ খোলেননি ওই নির্বাচন কমিশনার।

এ নিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, মেয়র সাহেব আমাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। এটা করারও কথা নয়। আর ভোট নিয়ে প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনারও কিছু নেই। কেননা, তফসিল দেওয়ার এখতিয়ার কমিশনের। মাননীয় কমিশনাররা কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

২০১৮ সালে বিপুল ভোটে মেয়র পদে নির্বাচিত হন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু গত বছর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কারও করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তবে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ বছর জানুয়ারিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর মধ্যে গত ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। সে অনুযায়ী, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে গত ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।