উজিরপুর(বরিশাল) প্রতিনিধি ঃ ঢাকা পঙ্গু জেনারেল হাসপাাতালের চিকিৎসকের বাসায় গৃহশিশুকর্মীকে পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা শ্যামলি চিকিৎসকের ভাড়া বাসায় । ২৫ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে গৃহকর্মী নিপা বাড়ৈ(১১) কে উজিরপুর থানার এস আই মাহাতাব তার নিজ বাড়ী থেকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে । জানা যায়, গৃহকর্মী হারতা ইউনিয়নের জামবাড়ী গ্রামের দিন মজুর ননী বাড়ৈ মেঝো কন্য নিপা বাড়ৈ দীর্ঘ্যদিন ঢাকা পঙ্গু জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: রবিন চন্দ্র হালদারের ঢাকার শ্যামলী ভাড়া বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে আসছিল। কাজ করার সুবাদে ডা: রবিনের স্ত্রী রাখি দাস প্রাতিনিয়ত নির্যাতন করতো গৃহকর্মী নিপার উপর। চিকিৎসকের স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে ২৪ ফেব্রæয়ারী অসুস্থ শরীর নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীতে পালিয়ে এসে তার উপর রাখি দাসের নির্যাতনের ঘটনা পরিবারের কাছে খুলে বলেন । এসময় ওই্ গৃহকর্মীর মাথায় দুটি সেলাইসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম, ফাটাঁ ছেড়ার দাগ দেখতে পেয়ে চাচা তপন বাড়ৈ উজিরপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নির্যাতনের স্বীকার গৃহকর্মী নিপা জানান, “রাখি ম্যাডাম মোরে অনেক মারে, কথায় কথায় ক্ষুনতি দিয়ে পিটায়, মাথা দেয়ালের লগে টাক দেয়, থাপ্পর মারে। আর এ ব্যাপারে কাউকে বললে মোরে মাইরা ফালাইবে বলে” । এ ব্যাপারে ডা: রবিন হালদারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে। ব্যাস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান, আমাদের এখানে শিশুটি ভর্তি আছে । শিশুটির মাথায় সেলায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে । উজিরপুর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসান জানান, ঘটনাটি শুনে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চিকিৎসকের বাসায় গৃহশিশুকর্মীকে পাশবিক নির্যাতন
