চীনের অনুদানে নির্মাণাধীন চীন-বাংলাদেশ অষ্টম মৈত্রী বেকুটিয়া সেতুর কাছে বুধবার রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে চীনা নাগরিক ও সেতুটির টেকনিশিয়ান লাওফেং (৫৮) এর হত্যার ঘটনা উদঘাটন করে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অংশিদার চীন, তাই চীনের নাগরিক হত্যার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করবে সরকার। এ হত্যাকান্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনও অপরাধী রক্ষা পাবে না। ‘
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) পিরোজপুর সার্কিস হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান, র্যাব বরিশাল-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর জাহাঙ্গীর আলম, সেতুটির সিকিউরিটি ইন-চার্জ মি. কাও, ডেপুটি ম্যানেজার মি. জয়েন উপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যেই সিরাজ ও রানা নামের সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় চীনা কর্মকর্তারা খুশি হয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পিরোজপুরের দুটি প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই ঘটনায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনও প্রভাব পড়বে না এবং বেকুটিয়া সেতুর কাজ স্বাভাবিক গতিতেই চলবে। এটিকে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চীনা নাগরিক হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত না — শ ম রেজাউল করিম
