ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেই শিক্ষার্থীকে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডাকসুর সদ্য সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী। শনিবার ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আশ্বাস দেন।

গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর ঢাবির ওই শিক্ষার্থী তাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন। লালবাগের মামলায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান এবং কোতোয়ালি থানার মামলায় সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে প্রধান আসামি করা হয়। দুই মামলাতেই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া মামলা দুটিতে আসামি হিসেবে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি নাজমুল হুদা ও কর্মী আবদুল্লাহ হিল বাকির নাম রয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বোনকে ধর্ষণ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ নামের একই সংগঠনে কাজ করা দুই নরাধম! একই সংগঠনের হওয়ায় ধর্ষকদ্বয়কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে, এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে চরিত্র স্খলন ও সম্ভ্রমহানির হুমকি দিয়েও শেষ রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে অপকর্মটিকে রাজনৈতিক মোড়ক দেওয়ার হীন চেষ্টায় লিপ্ত ডাকসুর সাবেক ভিপি! অসহায় বোনটির যৌক্তিক শঙ্কা, রাজনৈতিক রং মাখিয়ে ও তথাকথিত জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন দুস্কৃতকারীরা!

ওই ছাত্রীকে ন্যায়বিচারের স্বার্থে সব ধরনের আইনি সহায়তা দিতে তার সংগঠন ‘টিম পজিটিভ বাংলাদেশের’ লিগ্যাল সার্ভিসেস শাখা প্রস্তুত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসহায় ভুক্তভোগীদের সঠিক আইনি পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে পরিচালিত গ্রুপটির সম্মানিত অ্যাডমিন ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নিলু আপা ভুক্তভোগীকে মামলা পরিচালনার বিষয়ে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন।