উজিরপুর(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরের হারতা ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবার্তির ভাই বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু হত্যা মামলায় প্রেমিকাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ২৮ জুন সোমবার সকালে পুলিশ হত্যার মামলার প্রধান আসামী প্রেমিকা মিতু ভাংরাকে আদালতে প্রেরন করে। আদালত মিতুকে জেল হাজতে প্রেরন করে। একইদিনে হারতা বন্দরে বেলা ১১ টায় হত্যার বিচারের দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। স্থানীয়দের দাবী মিতু ভাংরার সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল টুনুর। একারনেই তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ২৬ জুন ভোর রাতে পরকীয়া প্রেমিকা মিতু ভাংরার জামবাড়ী এলাকার ভাড়া বাসার সামনে থেকে বাস কাউন্টারের টিকিট ব্যবসায়ী বাসুদেব চক্রবর্তী(টুনু)কে মূমূর্ষ অব¯’ায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে হারতা বাজারে ডাঃ নগেন্দ্র হালদারের ফার্মেসীতে নেয়া হলে সেখানে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে তাকে মৃত্যু ঘোষনা দেয়। ২৬ জুন উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। এসময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরকিয়া প্রেমিকা তিন সন্তানের জননী মিতু ভাংরাকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ২৭শে রবিবাবর বিকালে নিহতের ভাই বরুন চক্রবর্তি বাদী হয়ে মিতু ভাংরাকে আসামী করে উজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই মামলায় মিতু ভাংরাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরন করে। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরন করে।
এ ব্যাপাওে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান জানান, হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধান আসামী মিতু ভাংরাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তর প্রতিবেদন পেলে তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার রহস্য উৎঘাটন করা হবে।##
টুনু হত্যা মামলায় প্রেমিকা