মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ উজিরপুর সহকারী জজ আদালতে ৪৭ জনকে বিবাদী করে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা ২টির বাদী হচ্ছেন গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল আলম ও এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডল।

অ্যাড. আজাদ রহমান জানান মামলার বিবাদীরা হলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার, উজিরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উজিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অদিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, রূপালী ব্যাংক ভবানিপুর শাখার ম্যানেজার, উজিরপুর গুঠিয়া শাখার ম্যানেজার, অগ্রণী ব্যাংক বানারীপাড়া শাখার ম্যানেজার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আওরঙ্গজেব, শিক্ষক সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, বিথীকা মন্ডল, অভিভাবক সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী মোল্লা, মোঃ ছুরাত মোল্লা, মোঃ নাসির উদ্দিন খান, মোঃ নিজাম সরদার, শিরিন সরোয়ার, বিদ্যেৎসাহী সদস্য মোঃ আতাহার আলী হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক ম্যানেজিং কমিটি সহ ৪৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এসএলএসএস সমীর কৃষ্ণ সরখেল মামলায় উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ২৭ মে উক্ত স্কুলে এসএলএসএস পদে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কোন কারন ছাড়াই বিবাদীরা ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ৯/২০২০ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ নং বিবাদী বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চাকুরী বিধি ১৯৭৯ উপেক্ষা করে ১৭ অক্টোবর বাদীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং ১৯ অক্টোবর ১নং বিবাদী বাদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

অপর মামলায় বাদী গুঠিয়া মহেশ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে দায়িত্বরত আছেন। ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় ২৬ সেপ্টেম্বর স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পেয়ে প্রধান শিক্ষক ২০২০
সালের ৩ অক্টোবর কারন দর্শানোর জবাব প্রেরন করেন।

এমতাবস্থায় ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ নিজাম সরদার স্কুলের মালামাল কক্ষের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক মামলায় উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের মালামাল সংরক্ষিত রুমের চাবি নিয়ে যাওয়া এবং বিদ্যালয়ের নোটিশ বই, রেজুলেশন বই, ক্যাশ বই, জব্দ করা ও নিয়ে যাওয়ার হঠকারিতা বাদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সামিল এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। শুধু তাই নয় ম্যানেজিং কমিটি ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল ইসলামকে বেআইনী ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন।