শিমুলিয়া থেকে আজও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। যাত্রী সংখ্যা বেশি হলেও সব ফেরি চলাচল করায় গাদাগাদি কিছুটা কম। তবে উল্টো চিত্র বাংলাবাজার ঘাটে। এ ঘাটে সংকট দেখা দিয়েছে পরিবহনের।
ঘাট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ঢল শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিই যাত্রী ও যানবাহনে পরিপূর্ণ।
তবে সব ফেরি চালু থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের গাদাগাদি কম রয়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাংলাবাজার ঘাট থেকে খালি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বাংলাবাজার ঘাটে এসে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা পড়ছেন আরও বিপাকে। পরিবহন বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন তারা।
বরিশালগামী বরিউল হাসান বলেন, ‘আগে বাংলাবাজার ঘাট থেকে বরিশাল যেতে ভাড়া লাগত মাত্র ৫শ টাকা। এখন মাইক্রোবাসে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা। এতো টাকা দিয়ে কীভাবে বাড়ি যাব?’
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন জানান, ঈদে ঘরে ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে সব ফেরি চলাচল করছে। বাংলাবাজার ঘাটে তেমন চাপ নেই। তাই যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ফেরিগুলো বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন নামিয়ে খালি ফেরি আবার শিমুলিয়ায় ঘাটে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লোকারণ্য
