বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় পাট মন্ত্রনালয়ে কর্মরত মমতাজ বেগমকে শরীরের কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২১ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বানারীপাড়া পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের ঘোষ বাড়ির মমতাজ ভিলায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে এ হত্যা চেষ্টা করেন। ঈদ-উল ফিতরের ছুঁটিতে তিনি বাড়ি এসে এ হামলার শিকার হন। মমতাজ বেগম বানারীপাড়া সরকারি মডেল ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন (পইলট) বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম হাবীবুর রহমানের স্ত্রী। তার একমাত্র ছেলে বাবু চাকরির সুবাদে ও দুই মেয়ে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। খবর পেয়ে উপ-পরির্দশক মামুন ও জুবাইদুল ঘটনাস্থল
পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেন। এ সময় মমতাজ বেগমের শরীরে জ্বালানি কেরোসিন ও ঘরের মেঝেতে জামাকাপড় পোড়া অবস্থায় পাওয়া যায়,এবং আসবাবপত্র কাপড় চোপড় ছড়ানো-ছিটানো দেখা যায়। এবিষয়ে প্রতিবেশী প্রয়াত হানিফ হাওলাদারের স্ত্রী জানান, ঘটনার সময় মমতাজ বেগম তাকে ফোন দিয়ে বলেন আমাকে মেরে ফেলছে আমাকে বাঁচান,এই বলে ফোনটা কেটে যায়। সাথে সাথে দৌঁড়ে তাঁর ঘরে ঢুকে তাকে পিছনে দরজার পাশে মেঝেতে জামাকাপড় ছাড়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে দেখতে পাই । ঘরের বিদ্যুৎ নেই অন্ধকারে পড়ে থাকায় আশেপাশের মানুষকে ডেকে নিয়ে এবং তার আত্মীয়-স্বজনকে তাতক্ষণিক খবর দিয়ে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠাই। তিনি আরো জানান,তার সাথে থাকা স্বন্র্রে চেইন ও কানের দুল নেই। এবং ঘরের সামনের পিছনে দুটি দরজা ঘটনার সময় খুলে রাখা দেখতে পান। মমতাজ বেগমের ননদ জানান, তার ভাবী চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। ঈদের একদিন আগে নিজ বাড়িতে আসেন। পাট মনন্ত্রনালয়ের রিসিপশনিষ্ট মমতাজ বেগমের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সামনে চোখ খুলে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় তাঁর বক্তব্য নেয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, অসুস্থ মমতাজ বেগম কথা বলতে না পারায় এর সঙ্গে জড়িত কারা তা জানা যায়নি। তবে দোষীদের গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ###
বানারীপাড়ায় এক নারীকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা
