পটুয়াখালী: বৈরী আবহাওয়ার উপেক্ষা করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪০ ঘণ্টার অভিযানে পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আলাদা সময়ে মরদেহ পাঁচটি উদ্ধার করা হয়।

কাকড়ার চর থেকে প্রথম মরদেহটি উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। অন্য চার জনের মরদেহ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উদ্ধার মৃত পাঁচজন হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ সদস্য মো. মহিবুল্লাহ ও কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের বাহেরচর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন, দিনমজুর মো. ইমরান ও মো. হাসান মিয়া। সবার বাড়ি পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায়।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে মরদেহগুলো আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাসমান অবস্থায় দেখে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার মরদেহগুলো কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় রাখা হয়েছে।

শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মরদেহ ফুলে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিকৃত হয়নি, তাই পরিবারের সদস্যরা মরদেহ সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় আগুনমুখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি ছিল।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামে একটি স্পিডবোট কোড়ালীয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। সে সময় সাঁতরে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন পাঁচজন।